চট্টগ্রামে যন্ত্রপাতি কেনার নামে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দুর্নীতি মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার চট্টগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেছিলেন সরফরাজ খান। মামলা দায়েরের পর তিনি অনেকদিন কারাগারে ছিলেন। পরে চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত তিনি জামিনে মুক্ত পান।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামি স্থায়ী জামিন আবেদন করেছিলেন।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, একটি এমআরআই মেশিনের বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হলেও চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল সেটি কিনে ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়।

একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এ মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা। এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

তদন্ত শেষে আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে আসামিরা হলেন- জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।

২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল। দুর্নীতি সংঘঠিত হওয়ার সময় ডা. সরফরাজ খান চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।